আগামী জানুয়ারি মাসে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির তৃতীয় সভায় এ কথা জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আগামী জানুয়ারি মাসে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। তবে তারিখ এখনো নিশ্চিত করা হয়নি। বিশ্ব ইজতেমা কীভাবে ভালোভাবে হতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আপনারা জানেন, বিশ্ব ইজতেমায় এখন দুটি গ্রুপ হয়ে গেছে। তাদের মধ্যে মতেরও পার্থক্য আছে।
তিনি বলেন, আমরা তাদের সঙ্গে বসব, যাতে তারা সবাই ঐকমত্যে এসে ভালোভাবে (ইজতেমা) করতে পারে। এটি খুবই ভালো একটা আয়োজন, আমাদের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য বিরাট অনুষ্ঠান। এখানে বহু হুজুর যান এবং বহু দিকনির্দেশনা আসে। আমরা তাদের অনুরোধ করব। তিনি বলেন, আমরা তাদের বলব, আপনাদের নিজেদের মধ্যে যে সমস্যাটা রয়েছে, তা নিজেরা সমাধান করতে পারলে আমাদের জন্য ভালো। আর যদি নিজেরা সমাধান করতে না পারেন, তাহলে আমরা বসতে পারি, কীভাবে সমাধান করে আয়োজনটি ভালোভাবে করা যায়, সে বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
সভায় সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে করণীয়; বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, সার্বিক নিরাপত্তা ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়; সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ, নির্মূল ও নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ; অস্ত্র জমা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান পরিচালনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।সভায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও সচেষ্ট হওয়া এবং আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গকারী ও অপরাধীদের গ্রেপ্তার কার্যক্রম জোরদার করা, বিভিন্ন অপরাধী ও আন্দোলন-সমাবেশে উসকানিদাতাদের রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত হয়। কিছুক্ষণ আগে পুলিশ একাডেমি থেকে সিদ্ধান্ত এসেছে ২৫০ জন উপ-পুলিশ পরিদর্শককে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। কোন ধরনের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, শৃঙ্খলা একটা বড় ধরনের সজ্ঞা। এর পরিধি ব্যাপক। কাকে কোন ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য অব্যাহতি দেওয়ার হয়েছে সেটা একাডেমি ভালো বলতে পারবে। আমি তাদের এই প্রক্রিয়াটা পুরোপুরি জানিনা। এই সংখ্যাটা পূরণের জন্য আমরা ইতিমধ্যে একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা এ নিয়োগ সম্পন্ন করবো।
এটা আইন-শৃঙ্খলার জন্য বড় ধাক্কা কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এটা বড় কোনো ধাক্কা নয়।
তাদের এক ধরনের রাজনৈতিক পরিচয় আছে তাদের সে বিষয় আমলে নিয়েই এই অব্যহতি কিনা এমন প্রশ্নের জাবাবে তিনি বলেন, তাদের একাডেমিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য বের করা হয়েছে। এর চেয়ে বেশিও বের হয়। অনেক সময় শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য পুরো কোর্সও বের করে দেওয়া হয়। ডিসিপ্লিনের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের কম্প্রোমাইজ নয়। এখানে তো সংখ্যা কম। যদি দেখা যেতো পুরো ব্যাচের ভিতর শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ থাকে তাহলে পুরো ব্যচকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়। ডিসিপ্লিন বিষয়টা অনেক বড় সেটা আমরা ব্যাখা করতে পারবো না। এখানে তাদের অব্যাহতির বিষয় কোন রাজনৈতিক কারণ নেই। এখানে যারা একাডেমিক ইন্সট্রাকটর আছেন তারাই ভালো বলতে পারবেন।
কি পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্রের ৮০ শতাংশ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিটাও উদ্ধার করার পথে রয়েছে।
ঢাকা,মঙ্গলবার ২২ অক্টোবর এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।